পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে
পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন ? আপনি আপনার ত্বকের ফাংগাল কিংবা ছত্রাকজনিত সমস্যা নিয়ে চিন্তিত ? দাউদ, হাজা - চুলকানি বা একজিমার মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক কোন ক্রিম খুঁজে পাচ্ছেন না ?
এই আর্টিকেলে জানুন পেভিটিন ক্রিম এর ব্যাবহার, উপকারিতা, পেভিটিন ক্রিম কতদিন ব্যাবহার করতে হয় সহ আরও অনেক কিছু । আশা করছি pevitin cream bangla সংস্করনে আপনাদের পেভিটিন ক্রিম নিয়ে মনের ভেতর থাকা সব প্রস্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সূচিপত্র : পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে
- পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে
- পেভিটিন ক্রিম কেন ব্যবহার করা হয়
- পেভিটিন ক্রিম কি মুখে ব্যবহার করা যাবে
- পেভিটিন ক্রিম এর উপকারিতা । pevitin cream bangla
- পেভিটিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
- পেভিটিন ক্রিম কি যোনিতে ব্যবহার করা যাবে
- পেভিটিন ক্রিম এর দাম কত । পেভিটিন ক্রিম দাম কত
- pevitin cream কাজ কি
- পেভিটিন ক্রিম কি দাউদ এর কাজ করে
- পেভিটিন ক্রিম এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- পেভিটিন ক্রিম কি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যাবে
- জরুরি বার্তা
- শেষ কথা : পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে
আরও পড়ুনঃ টাফনিল এর কাজ কি
পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে
পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে এই প্রশ্ন অনেকের মনে থাকে যারা বিভিন্ন রকম ত্বকের
সমস্যায় ভুগছেন। পেভিটিন ক্রিম মুলত ফাঙ্গাল ইনফেকশন, চুলকানি ও দাউদ জাতীয়
সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এটি একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম। এই ক্রিমটি
আপনার ত্বকের ছত্রাকগুলির কোষ প্রাচীরকে ধ্বংস করে তাদের বৃদ্ধিকে থামিয়ে দেয়।
পেভিটিন ক্রিম এর আসল কাজ কি তা বুঝতে হলে আপনাকে জানতে হবে এটি কিভাবে আপনার
সংক্রমনের জায়গাকে লক্ষ্য করে কাজ করে।
Pevitin এর মূল উপাদান হিসেবে এতে আছে " Sertaconazole Nitrate " । যা বিশেষত
ক্যাভিন্ডা এবং ডারমাটোফাইটাস এর মতো ক্ষতিকারক ছত্রাক ধ্বংসে শক্তিশালী ভূমিকা
রাখে। আপনার ত্বকে হওয়া চুলকানি, লালচে ভাব এবং ফুসকুড়ির মতো অস্বস্তিকর রোগের
জীবাণুকে ধ্বংস করে আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে। পেভিটিন ক্রিম কি কাজে লাগে আশা
করি এবার বুঝতে পেরেছেন।
আমি নিজেও এই ক্রিম এর ব্যবহারকারী। তাই এটার ব্যাপারে আমি সঠিক তথ্য আপনাদের
দিতে পারছি। অনেকেই ভুল করে এটিকে ফর্সা করার ক্রিম মনে করে, এটা সম্পূর্ণ ভুল।
এটি সুধুমাত্র একটি ফাঙ্গাস এবং ছত্রাকজনিত সমস্যায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। তাই
ভুলেও কেউ এটিকে ফর্সা করা ক্রিম ভেবে মুখে ব্যবহার করবেন না।
পেভিটিন ক্রিম কেন ব্যবহার করা হয়
পেভিটিন ক্রিম কেন ব্যবহার করা হয় এটা এই ক্রিমের ব্যবহারকারীর জন্য জানা বিশেষ
জরুরি। pevitin cream এর মূল কাজ হল বহুমুখী ছত্রাকজনিত সংক্রমণ এর হাত থেকে
ত্বককে রক্ষা করা। এই ক্রিম ডাক্তার তখনই রোগীকে প্রেসক্রাইব করেন যখন ত্বকে
বারবার ফাঙ্গাল সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে বগল, ঘাড়, শরীরের কুঁচকানো জায়গায়,
আঙ্গুলের ফাক এসব জায়গায় সাধারনত এই ইনফেকশন দেখা দেয়। যা একটা সুস্থ মানুষের
জন্য খুবই অস্বস্তিকর।
যারা বেশি ঘামেন বা টাইট পোশাক পরেন তাদের এই ফাঙ্গাল সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
আপনার সংক্রমণের তিব্রতা এবং স্থান অনুযায়ী এর ব্যবহার এর নিয়ম ভিন্ন হতে পারে।
মনে রাখবেন, এটা একটা প্রেস্ক্রিপশন ভিত্তিক ঔষধ। নিজের বুদ্ধিতে কিংবা অন্য কারো
পরামর্শে আপনি এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। এটি ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। পেভিটিন ক্রিম এর ব্যবহার
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সঠিক চিকিৎসা গ্রহন করুন । পেভিটিন ক্রিম ব্যবহার করার
সঠিক নিয়ম অনুসরন করলে চিকিৎসার ফল ভালো আসে।
পেভিটিন ক্রিম কি মুখে ব্যবহার করা যাবে
অনেকের ভেতর এই প্রশ্ন আসে যে পেভিটিন ক্রিম কি মুখে ব্যবহার করা যাবে কিনা, যার
উত্তর আশা করি মনোযোগ দিয়ে পড়লে পেয়ে যাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক। পেভিটিন
সাধারণত মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য কখনও কোনো ডাক্তার পরামর্শ দেন না।
মুখের ত্বক অনেক সেনসিটিভ এবং এর আস্তরন অনেক পাতলা । পেভিটিন এর মতো
অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম মুখের মতো ত্বক সহ্য করতে পারবে না। কেউ যদি ভুল করেও মুখে
এই ক্রিম ব্যবহার করে ফেলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন করতে হবে তাকে।
নাহলে মুখে জালাপোড়া করা সহ নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যদি
মুখের ত্বকে কখনও এইরকম ফাঙ্গালজনিত সমস্যা দেখা দেয় তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তাররা আপনার মুখের জন্য pevitin থেকে কম
শক্তিশালী বা ভিন্ন ফর্মুলার অ্যান্টিফাঙ্গাল ঔষধ লিখে দিবেন। কখনও নিজে নিজে
মুখে ব্যবহার করে নিজের ঝুকি বারাবেন না। পেভিটিন ক্রিম কি নিরাপদভাবে ব্যবহার
করা যায় কিনা তা নির্ভর করে সঠিক স্থানে ব্যবহারের ওপর। পেভিটিন ক্রিম এর ব্যবহার
শুরু করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পেভিটিন ক্রিম এর উপকারিতা । pevitin cream bangla
পেভিটিন ক্রিম এর উপকারিতা শুধু ফাঙ্গাল সংক্রমণ নিরাময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। বরং
তার সাথে সম্পর্কিত অস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে। এর প্রধান উপকারিতা হল এটি
চুলকানি, লালচে ভাব, দাউদ, ফোসকার মতো রোগ থেকে আপনাকে দ্রুত মুক্তি দেয়। এটি সেই
চুলকানি ও সংক্রমণজনিত ত্বকের দাগ হাল্কা করে। ত্বককে শান্ত ও মসৃণ করতে সাহায্য
করে। সেই জায়গায় যেন পরে আবার সংক্রমণ না হয় সেই ব্যাপারে সাহায্য করে। বেশিরভাগ
সময় এই ক্রিম ব্যবহারের ৩-৭ দিনের মধ্যে উপসর্গ কমতে শুরু করে।
আরও পড়ুনঃ
পুদিন পাতার জুস এর উপকারিতা
পেভিটিন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
পেভিটিন ক্রিম এর ব্যবহার পদ্ধতি খুবই সহজ। কিন্তু অনেকেই সেই সহজ পদ্ধতি জানেন
না। তাদের জন্য নিচে অনেক সহজ করে এটি ব্যবহারের পদ্ধতি দেওয়া হল -
- গরম পানি নিন ঃ একটি পাত্রে পানি গরম করুন । বেশি গরম না আবার বেশি ঠাণ্ডাও না। হাল্কা করে গরম করুন । যা আপনার ত্বক সহ্য করতে পারে।
- পরিষ্কার করুন ঃ সেই হাল্কা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে আলতো করে সংক্রমিত স্থানটি পরিষ্কার করে নিন। পরিষ্কার হয়ে গেলে জায়গাটা না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ভেজা ত্বকে ছত্রাকের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। তাই শুকিয়ে নেয়া জরুরি।
- পেভিটিন ক্রিম লাগানো ঃ ভালমত শুকিয়ে যাওয়ার পর হাতের আঙ্গুলে ক্রিম নিয়ে আলতো করে সংক্রমিত জায়গায় পেভিটিন ক্রিম লাগান। দুই আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করুন যেন আক্রান্ত স্থানের চারিদিকে ক্রিমটি ছড়িয়ে যায়। ক্রিম কখনই মোটা আস্তরন করে লাগাবেন না। পাতলা আস্তরন করে লাগাবেন।
এই pevitin cream দিনে একবার বা দুইবার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।আক্রান্ত
স্থানে ৭ থেকে ১৪ দিন ব্যবহার করবেন। এর ভেতর সুস্থ হয়ে গেলে এই ক্রিম এর
ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কারন এটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে আপনার ত্বকের জন্য
ক্ষতিকরও হতে পারে। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই ক্রিম ব্যবহার
করতে হবে। ডাক্তার যতদিন ব্যবহার করার পরামর্শ দিবেন ঠিক ততদিনই ব্যবহার
করবেন।
পেভিটিন ক্রিম কি যোনিতে ব্যবহার করা যাবে
পেভিটিন ক্রিম কি যোনিতে ব্যবহার করা যাবে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে আপনাকে
আগে যোনির ত্বক সম্পর্কে জানিয়ে রাখি। যোনির এরিয়া অত্যন্ত সেনসিটিভ, ভুল ক্রিম
ব্যবহার করলে জালা, ইনফেকশন ও অ্যালার্জি সহ নানা রকম সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
যোনির মত সেনসিটিভ জায়গার জন্য এই ক্রিম উপযুক্ত নাও হতে পারে। যোনিতে এই ক্রিম
ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এই ক্রিম যোনিতে ব্যবহারের
উপদেশ কোন ডাক্তার দিয়েছেন এখন পর্যন্ত এর কোন তথ্য প্রমান কোথাও পাওয়া যায়নি।
যদি যোনিতে এইরকম ছত্রাকজনিত ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে সেটার জন্য অবশ্যই একজন
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। যোনির জন্য আলাদা অ্যান্টিফাঙ্গাল
ক্রিম আছে। সেই ক্রিম শুধুমাত্র যোনিতেই ব্যবহার করা যায়। যোনির সমস্যায় পেভিটিন
ক্রিম এর ব্যবহার করা উচিত নয়। উলটো সমস্যা কমার চেয়ে বেড়ে যেতে পারে। তাই যোনিতে
সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর সাথে যোগাযোগ করুন।
পেভিটিন ক্রিম এর দাম কত । পেভিটিন ক্রিম দাম কত
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে পেভিটিন ক্রিম এর দাম কত তা এর প্রস্ততকারক কোম্পানি
ও প্যাকেজিং এর আকারের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন
ফার্মেসিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা এর ভেতর উঠানামা করে। যেহেতু ঔষধ এর দাম সময়ে সময়ে
পরিবর্তনশীল, তাই নির্দিষ্ট দামের জন্য আপনার নিকটস্থ ফার্মেসিতে খোঁজ রাখবেন।
বিভিন্ন অনলাইন ফার্মেসিতেও এটি সহজে পাবেন এবং দাম প্রায় একই রেঞ্জে থাকে।
বিভিন্ন কোম্পানি Pevitin cream নামে এই Sertaconazole Nitrate ক্রিমটি বিভিন্ন
নামে বাজারে এনেছে। তাই অবশ্যই কেনার সময় যাচাই করে নিবেন ক্রিমটি আসল কিনা এবং
মেয়াদ দেখে নিবেন। এটি একটি প্রেসক্রিপশন ভিত্তিক ঔষধ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী কেনা ও ব্যবহার করা সবচেয়ে উত্তম।
আরও পড়ুন ঃ
10000 টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল
pevitin cream কাজ কি
pevitin cream কাজ কি এটা জেনে রাখা জরুরি। এই ক্রিমের মূল এসেন্স হল ফাঙ্গাস
নিয়ন্ত্রন । এটি ছত্রাকজনিত এবং ফাঙ্গাস ইনফেকশন এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেক
কার্যকরী।
- রোগ নিরাময় ঃ এটি দাউদ , রিংওয়ার্ম ( Ringworm ), জক ইচ ( Jock itch ) এবং স্কিন ফাঙ্গাল ইনফেকশনকে ধ্বংস করতে বিশেষ কার্যকরী। আপনার যদি এরকম কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে এই ক্রিম হতে পারে আপনার জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।
- কার্যপদ্ধতি ঃ সংক্রমিত অংশে ফাঙ্গাসের স্পোর ধ্বংস করে ফেলে। ফলে উপসর্গ কমে এবং ত্বককে দ্রুত স্বাভাবিক করে।
- অতিরিক্ত সুবিধা ঃ শুকনো ত্বকে হওয়া ইনফেকশনজনিত দাগ ও চুলকানি কমাতেও এটি ভালো কার্যকরী। ত্বকের যেসব সমস্যা মুলত ফাঙ্গাস দ্বারা তৈরি, সেসব ক্ষেত্রেই পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে তার কার্যকারিতা বেশি লক্ষ্য করা যায়।
পেভিটিন ক্রিম কি দাউদের কাজ করে
অবশ্যই , এটি দাউদ বা রিংওয়ার্মের অন্যতম কার্যকর চিকিৎসা। দাউদের প্রধান কারণ
ফাঙ্গাস এবং এই ক্রিম ফাঙ্গাল গ্রোথ ব্লক করে দ্রুত দাউদ কমিয়ে সুস্থ করে। এই
ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে দাউদের দাগ কমে যায় এবং নতুন করে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকিও
কমিয়ে দেয়। যাদের দাউদ আছে তাদের জন্য এই ক্রিম আশীর্বাদস্বরূপ। পেভিটিন ক্রিম
দাউদ সৃষ্টিকারী ছত্রাককে সরাসরি মেরে ফেলে এর চিকিৎসা করে।
ক্রিমটি দাউদের ছত্রাককে ধ্বংস করে এবং এর বিস্তার রোধ করে। এই ক্রিম এতটাই দ্রুত
কাজ করে যার কারনে দাউদের চিকিৎসায় ডাক্তারদের একটি পছন্দের ঔষধ। এই ক্রিমের
দ্রুত ফলাফল পেতে হলে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। ডাক্তার আপনাকে যতদিন ব্যবহার
করতে বলবে ঠিক ততদিন ব্যবহার করবেন।
পেভিটিন ক্রিম এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিমগুলির মধ্যে পেভিটিন ক্রিম সাধারণত সহনীয়।
কিন্তু সঠিক ব্যবহার না করলে এই ক্রিম এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে
পারে। এই ঝুঁকি সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য জানাও বিশেষ জরুরি। এই
ক্রিমের সক্রিয় উপাদান Sertaconazole Nitrate । এই ক্রিম ব্যবহারের
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল -
- ত্বকে জ্বালাপোড়া বা স্টিংগিং অনুভূতিঃ এই ক্রিমটি লাগানোর ঠিক পরেই হালকা জ্বালাপোড়া বা পিনস অ্যান্ড নিডলস এর মতো অনুভূতি হতে পারে। যা বেশিক্ষন স্থায়ী হয়না।
- লালচে ভাবঃ এই ক্রিম লাগানোর পর ত্বক সামান্য লাল হয়ে যেতে পারে। যা স্বাভাবিক কিছু সময় পর তা আবার ঠিক হয়ে যাবে।
- চুলকানি ও স্পর্শকাতরতাঃ কিছু কিছু বিরল রুগীর ক্ষেত্রে ক্রিমের কোন উপাদানের কারনে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়ে ত্বক ফুলে যেতে পারে। আবার র্যাশ ও দেখা দিতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে হাল্কা চুলকানি বাড়তে পারে।
- তীব্র অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া ঃ অনেক সময় রোগীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে আর মুখ, ঠোঁট বা জিহ্বা ফুলে যেতে পারে। আবার সংক্রমণের স্থানে ফোসকা তৈরি হতে পারে। ক্রিম ব্যবহার করার পরও অনেক সময় ফাঙ্গাল সংক্রমণ না কমে উলটো আরও বেড়ে যায়।
যদি উপরের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি গুরুতর আকার ধারন করে তবে সঙ্গে সঙ্গে
পেভিটিন ক্রিম এর ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর যত দ্রুত সম্ভব একজন চর্মরোগ
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
পেভিটিন ক্রিম কি গর্ভাবস্থায় ব্যবহার করা যাবে
পেভিটিন ক্রিম গর্ভবতীদের ব্যবহার করা যাবে কিনা চলুন এইটা জেনে নেয়া যাক।
গর্ভাবস্থায় যেকোনো ঔষধ এমনকি টপিক্যাল ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ
সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। যদিও পেভিটিন ক্রিম এর ব্যবহার টপিক্যাল হওয়ায় এর
ক্ষতি হওয়ার আশংকা অনেক কম । তবুও ভ্রুন এর উপর এই ক্রিম এর উপাদান এর প্রভাব
এখনো প্রতিষ্ঠিত নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এই ক্রিম এর উপাদানটি সাধারণত প্রেগন্যান্সি
ক্যাটেগরি C এর আওতাভুক্ত।
অতএব একজন গর্ভবতী যদি কখনও ছত্রাকজনিত সমস্যায় ভোগেন এবং পেভিটিন ক্রিম কিসের
কাজ করে জেনে তা ব্যবহার করতে চান তবে অবশ্যই একজন গাইনি বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এর
পরামর্শ নেওয়া বাধ্যতামূলক। একমাত্র ডাক্তারই যদি বুঝেন এটি ব্যবহারে গর্ভবতীর
ঝুকির চেয়ে উপকারিতা বেশি তাহলে তিনি এটি ব্যবহারের অনুমুতি দিতে পারেন এবং সঠিক
নিয়মে পেভিটিন ক্রিম ব্যবহার এর নির্দেশনা দেবেন।
জরুরি বার্তা
এই আর্টিকেল পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে বা pevitin cream এর ব্যবহার সম্পর্কে
যা আলোচনা করা হয়েছে, তা কেবল সাধারণ তথ্য এবং শিক্ষামুলক উদ্দেশ্যেই পরিবেশিত।
এটি কোনোভাবেই একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন, রোগ নির্ণয় বা পেশাদার
চিকিৎসার বিকল্প হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। আমরা নিশ্চিত করি যে এই তথ্যগুলো
সঠিক, কিন্তু এটি কোনো প্রকার চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়।
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনের আগে, বিশেষ করে আপনি যদি
গর্ভাবস্থায় থাকেন বা কোনো জটিল রগে ভোগেন, তবে অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নিন। এখানে প্রদত্ত
তথ্যের ভিত্তিতে স্ব-চিকিৎসা বা সিদ্ধান্ত গ্রহনের ফলে সৃষ্ট কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিনতির জন্য লেখক বা ভাইরাল মিন্ট হাব ওয়েবসাইট এর সাথে জড়িত কেউ
কোনোভাবে দায়ী থাকবে না।
শেষ কথাঃ পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে
পেভিটিন ক্রিম কিসের কাজ করে পুরো আর্টিকেলের সারাংশ হল এটি একটি অ্যান্টিফাঙ্গাল
স্কিন ক্রিম যা দাউদ, রিংওয়ার্ম, চুলকানি সহ ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে ব্যবহার করা
হয়ে থাকে। এর সক্রিয় উপাদান হল Sertaconazole Nitrate . এটি ছত্রাকের প্রাচীর
ভেঙ্গে তাদের নির্মুল করে এবং দ্রুত উপসর্গ থেকে মুক্তি দেয়। সঠিক ভাবে এবং
সাবধানতা বজায় রেখে এই ক্রিম ব্যবহার করলে এটি খুব ভালো ফল দিতে পারে। তবে মুখে
বা যোনির মতো সেনসিটিভ জায়গায় ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আমার ব্যক্তিগত মতামত হল, ফাঙ্গাল সংক্রমণ অত্যন্ত ছোঁয়াচে রোগ। এবং প্রায় সময়
সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে এই সংক্রমণ আবার ফিরে আসে। তাই আপনি যদি কার্যকরী
অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা খুঁজে থাকেন তবে পেভিটিন ক্রিম অবশ্যই আপনার জন্য ভালো
বিকল্প হতে পারে। তবে আমার একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন নিজে নিজে বা কোন ফার্মেসি
দোকানদারের কথা শুনে ভুল ক্রিম ব্যবহার করে ফেলেন তবে নিজের বিপদ নিজে ডেকে
আনবেন। তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই যে কোন রোগের ঔষধ খাওয়া শুরু করুন
।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আমাদের আর্টিকেলে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার
দৃষ্টিতে দেখবেন । আপনার মতামত এই আর্টিকেল এর নিচে কমেন্ট বক্সে লিখে রাখুন। আর
আমাদের নতুন নতুন আর্টিকেল এর নোটিফিকেশন পেতে আমাদের ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব করুন।
বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেয


ভাইরাল মিন্ট হাবের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url